ফিতনার ভয়াবহতা ও সতর্কতা :
শেষ জমানায় ফিতনা এমনই প্রকট আকার ধারণ করবে যে, সত্য-মিথ্যা ও হক-বাতিল চিহ্ণিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। ইলম স্বল্পতাহেতু অধিকাংশ মানুষ ফিতনায় জড়িয়ে পড়বে। খুব কম মানুষই তখন ফিতনা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে। ফিতনার ভয়াবহতা কেমন হবে, তা বুখারির একটি হাদিস থেকে অনুমান করা যায়। বর্ণিত হয়েছে :
أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: سَتَكُونُ فِتَنٌ القَاعِدُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ القَائِمِ، وَالقَائِمُ فِيهَا خَيْرٌ مِنَ المَاشِي، وَالمَاشِي فِيهَا خَيْرٌ مِنَ السَّاعِي، وَمَنْ يُشْرِفْ لَهَا تَسْتَشْرِفْهُ، وَمَنْ وَجَدَ مَلْجَأً أَوْ مَعَاذًا فَلْيَعُذْ بِهِ.
‘আবু হুরাইরা রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শীঘ্রই ফিতনারাশি আসতে থাকবে। ওই সময় উপবিষ্ট ব্যক্তি দাঁড়ানো ব্যক্তির চেয়ে উত্তম (নিরাপদ), দাঁড়ানো ব্যক্তি ভ্রাম্যমান ব্যক্তি হতে উত্তম, আর ভ্রাম্যমান ব্যক্তি ধাবমান ব্যক্তির চেয়ে উত্তম হবে। যে ব্যক্তি ফিতনার দিকে চোখ তুলে তাকাবে ফিতনা তাকে গ্রাস করবে। তখন যদি কোনো ব্যক্তি তার দ্বীন রক্ষার জন্য কোনো ঠিকানা অথবা নিরাপদ আশ্রয় পায়, তবে সে যেন সেখানে আশ্রয় গ্রহণ করে।’ (সহিহুল বুখারি : ৪/১৯৮, হাদিস নং ৩৬০১)
তাই প্রতিটি মুসলিমের জন্য আবশ্যক হলো, শেষ জমানার ফিতনার ব্যাপারে পূর্ণ সতর্ক থাকা, ইমানের ওপর মেহনত বৃদ্ধি করা এবং এ সময়ে ঘটিত নানা ঘটনার ব্যাপারে বিভ্রান্তিতে নিপতিত না হওয়া। বাজারে ফিতনা বিষয়ক মৌলিক ও অনূদিত অনেক বই পাওয়া যায়, সেগুলো সংগ্রহ করে অধ্যয়ন করলে এসব ফিতনা বুঝা ও তা থেকে বেঁচে থাকা সহজ হবে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সব ধরনের ফিতনা থেকে হিফাজত করুন।
🖋️ মুফতি তারেকুজ্জামান তারেক দা.বা.