মালফূযাত-১৯
-
মারকাজুল হুদা :- তরজুমানে আকাবির আরেফবিল্লাহ শায়খুল হাদীস শায়খুল উলামা *হযরত মাওলানা শাহ আবদুল মতীন বিন হুসাইন সাহেব দামাত বারাকাতুহুম* এর *মালফূযাত*
- আল্লাহ পাক সব বান্দাদেরকে ক্ষমতা দেন, পরে সে কাজের হুকুম দেন।
বান্দাকে আল্লাহ যতটুকু ক্ষমতা দেন তার বাইরে কোন দায়িত্ব তাকে দেন না।
মানুষ ইচ্ছা করলে নজর করতেও পারে, আবার নজর হেফাযতও করতে পারে। নজর করল শয়তান খুশি হলো। নজর হেফাযত করল আল্লাহপাক খুশি হলেন। নজর করল লানত নাযিল হলো। নজর হেফাযত করল তো রহমত নাযিল হলো। নজর করলো তো অন্তর কালো হয়ে গেল, নজর হেফাযত করল, তো অন্তর নূরে ভরে গেল। নজর করল, তো সে জাহান্নামের দিকে অগ্রসর হয়ে গেল। আর নজর হেফাযত করল তো সে জান্নাতের দিকে অগ্রসর হয়ে গেল। যখন সে নজর করল শয়তানের সাথে তার সম্পর্ক বাড়লো। নজর হেফাযত করল তো আল্লাহ পাকের সঙ্গে তার সম্পর্ক বাড়লো। - আল্লাহকে পাওয়ার সনদওয়ালা রাস্তা হলো আল্লাহওয়ালাদের রাস্তা।
যারা এলমী যোগ্যতাওয়ালা, হাজার জ্ঞান-বুদ্ধিওয়ালা, বা দুনিয়ার লাইনের দাপটওয়ালা তারা কেউ মঞ্জিলে মকসুদ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে নাই, কামিয়াব হতে পারে নাই। - যারা আল্লাহওয়ালাদের থেকে আযাদ, আল্লাহর হুকুম থেকে আযাদ তারা হাজারো এলেম থাকা সত্বেও তারা আল্লাহকে পায় নি, আল্লাহ পর্যন্ত পৌঁছতে পারে নি। আর যারা দেওয়ানা বান্দা তারা কামিয়াব হয়ে গেছে।
হাকীমুল উম্মত হযরত থানভী রহমাতুল্লাহি আ’লাইহি বলতেন যে, আল্লাহওয়ালাদের সাথে থাকার এক বরকত হলো, হকের উপর থাকা তার নসীব হয়। দুনিয়ার কোনো শক্তি তাকে গোমরাহ করতে পারে না। হক পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারে না। এর বাইরে হাজারো এলেম সত্বেও, হাজারো আমল সত্বেও গোমরাহী থেকে বাঁচার কোনো গ্যারান্টি নেই। দেখা যায় মানুষের হাজার এলেম আছে, তারপরও গোমরাহ হয়ে যায়। হাজার আমল আছে তারপরও গোমরাহ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহ ওয়ালাদের সোহবতে ওঠাবসার বরকতে আল্লাহ তাআলা গোমরাহী থেকে তাকে হেফাযত করেন। এবং মরদুদ হওয়া থেকে আল্লাহপাক তাকে হেফাযত করেন। (মারকাজুল হুদা ডটকম )