প্রিয়জনকে বিদেশ পাঠানোর বেপারে সচেতন হই
আল্লাহপাক বলেন, “নিজেদেরকেও জাহান্নাম থেকে বাঁচাও এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকেও জাহান্নাম থেকে বাঁচাও।” এর অর্থ হল তাকে ঈমানওয়ালা জিন্দেগি, আল্লাহর ভয়ওয়ালা জিন্দেগি এবং সুন্নতওয়ালা জিন্দেগি শিক্ষা দেওয়া। সারা দুনিয়া কুফুর, শেরেক এবং নাফরমানীতে ভরা। মুসলমানদের এখন যেখানেই একটা পরিবেশ আছে সেটা কত দামী! কত মূল্যবান! সেখানে ডানে বামে তাকালেই দেখা যায় যে, কেউ আল্লাহর নাম নিচ্ছে, কেউ দোআর মধ্যে কান্নাকাটি করছে, কেউ কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে পড়ছে। সে নিজে না করলেও আরেকজনকে দেখে যে, আমলে আছে। মুসলমান সমাজে থাকলে এই ফায়দা হয়।
অনেকের মধ্যেই এই প্রবণতা যে, নিজেদের লোকদেরকে কেবল বিদেশে পাঠাও। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিদেশ পাঠানোর টার্গেট ইনকাম করা। আরে ভাই পয়সা তো আসবে কিন্তু তার দিন হেফাযত হবে কিনা। ঈমান হেফাযত হবে কিনা। জান্নাতের পথে সে কায়েম থাকবে কিনা। নাকি জাহান্নামের মধ্যে পড়ে যাবে। সেটাও তো ফিকির করা উচিত। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, বহু লোক এরকম আছে যে, যারা যথেষ্ট পয়সাওয়ালা তারাই নিজেদের সন্তানদেরকে বিদেশে পাঠানোর জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। আল্লাহপাক প্রতিটি মুসলিম দেশ দান করেছেন সেটা বড় নেয়ামত। সেখানে আযান হয়, নামায হয়, রোযা হয়, কোরবানী হয়। কোন কোন দেশ আছে সেখানে কোরবানি করা যাবেনা, আযান দেওয়া যাবে না, একাকী ঘরের মধ্যে নামায পড়া যাবে না, দোআ মোনাজাত করা যাবে না, রোযা রাখা যাবে না, হিজাব পড়া যাবে না। গোয়েন্দারা টহলদারি করতে থাকে যে, মুসলমানের পরিচয় বহন করে এমন কিছু তার মধ্যে পাওয়া যায় কিনা। এই হল সভ্যজগতের মানুষের পরিচয়। অন্য যত ধর্ম আছে সে সকল ধর্মের উপর কোন কথা নাই। অন্য ধর্মের টুপি আছে তাদের ধর্মীয় টুপি সেটা পড়লে দোষের নয়। কিন্তু মুসলমান মেয়েরা মাথায় কাপড় দিলেও দোষ। তারা যা করবে সবগুলো ঠিক আছে। জুলুমের কোন সীমা আছে। আসলে এসব লোক অন্তর থেকে মুসলমানদের দুশমন। মুসলমানদেরকে ঘৃণা করে। মুসলমানদের প্রতি তাদের শত্রুতা। তাদের হাতে নিজের লোকদেরকে, নিজের আপন জনদেরকে তাদের পরিবেশে ন্যস্ত করে দেওয়ার মধ্যে কোন কল্যাণ, কোন মঙ্গল, কোন সাফল্য নিহিত আছে ?
(👆তরজুমানে আকাবির আরেফবিল্লাহ শায়খুল হাদীস শায়খুল উলামা হযরত মাওলানা শাহ আবদুল মতীন বিন হুসাইন সাহেব দামাত বারাকাতুহুম এর মালফুযাত)